রকেটটি কোনো দেশে পড়লে কেমন ক্ষতি হতে পারে জানালো চীন

চীনা লং মার্চ-৫বি রকেটের অংশ শনিবার বা রোববার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। এ ঘটনায় বিশ্বের সবার ঘুম হারাম। কোথায় পড়বে, কি ক্ষতি হবে সেই চিন্তায় তটস্থ দেশগুলো।

অথচ চীনের যেন কোনও মাথাব্যথা নেই। উল্টো বলছে, এই বস্তু পৃথিবীতে আছড়ে পড়লেও ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের।তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন নামের এই প্রকল্পের আওতায় রকেট উৎক্ষেপণের জন্য কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ওই মহাকাশ স্টেশনের একটি অংশ পরীক্ষামূলকভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে গত ২৯ এপ্রিল লং মার্চ ৫বি রকেট-এর উৎক্ষেপণ করেছিল চীন।

১০০ ফুটের ওই অংশ এখন পৃথিবীতে আছড়ে পড়ছে। কিন্তু এটা ঠিক কোথায় পড়বে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা সেটা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানিয়েছে, শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ১১টার দিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে ২১ জন ওজনের এই বস্তুটি। তবে এই সময়টা ৯ ঘণ্টা কম বেশি হতে পারে।

চীনের কর্তৃপক্ষ বলছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো এই রকেটের অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

রকেটটি কোথায় পড়বে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন অনুমান করে যাচ্ছেন। তাদের ধারণা এটা মহাসাগরে বা জনশূন্য কোনও এলাকায় পড়তে পারে। অনেকে বলছেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরই এর অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

এদিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র মাইক হাওয়ার্ড বলেছেন, আমরা আশা করছি এটা এমন কোনও জায়গায় পড়বে যাতে কারও ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রকেটের অংশটি ট্র্যাক করছে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত এটা বলা সম্ভব হবে না তা কোথায় পড়বে।

এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, এই রকেটের অংশকে ভূপাতিত করার কোনও পরিকল্পনা মার্কিন সেনাবাহিনীর নেই। এমনকি এই রকেটের অংশ পড়ার পেছনে চীনের অবহেলা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।